কি একটা হ-য-ব-র-ল অবস্থা চলছে দেশে..!
৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন, সকল ধরনের পরিবহন বন্ধ! ১লা আগস্ট থেকে শিল্প কারখানা খোলা হচ্ছে। তবে কি শ্রমিকরা বিমানে করে ঢাকায় পৌঁছাবে!!?
“আবারও একটা ভুল। আবারও হটকারিতা। এরকম একেকটা ভুলে কোভিড ছড়ায় বহুগনে। না আমি বলছি না গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্ত ভুল। এটা ভুল কী ঠিক তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। জীবন আর জীবিকার এই দ্বন্দ্ব চলছেই এবং কখনোই শতভাগ লোক একমত হতে পারবেন না। কাজেই গার্মেন্টস খোলাকে ভুল বলতে নারাজ। এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু ৩০ তারিখে ঘোষণা দিয়ে ১ তারিখ থেকে গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্ত অবশ্যই ভুল। মহাভুল।
ফলাফল দেখেন। শিমুলিয়া ঘাটে গতকাল থেকে ঢাকামুখী লাখো মানুষ। আরিচা, দৌলতদিয়া, শিমুলিয়া, কাজিরহাট সব ফেরি ঘাটেই মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের ছবি এসেছে গণমাধ্যমে। ফেরিগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। মানুষের ভিড়ে ফেরিগুলোতে কোনো যানবাহন পার করা সম্ভব হয়নি। বরং একেকটা ফেরিতে তিন থেকে চার হাজার মানুষ পার হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানানো কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না।
পোশাক কারখানার কর্মীরা বলছেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন ও কারখানা বন্ধের ঘোষণা আসায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাড়িতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ করে কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে ফিরছেন। অনেক যাত্রী প্রশ্ন করেছেন, সরকার লকডাউন দেয়, আবার লকডাউনের মধ্যে অফিসও খুলে দেয়, কেন?’
এই প্রশ্নের উত্তর আসলে কে দেবে? নীতি নির্ধারকদের কাছে প্রশ্ন, আপনারা যদি খুলবেনই ঈদের আগে কেন বলেছিলেন ৫ আগস্টের আগে কিছু খুলবে না, এমনকি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাও না। এরপরেও যখন খুলবেনই ফেরার জন্য অন্তত ৫-৭ টা দিন কী সময় দেবেন না? মানুষগুলো কী উড়ে উড়ে আসবে? আবার গার্মেন্টস খোলার পর কঠোর লকডাউন বহাল রাখা তো আরেক বোকামি। এখন তো লাখ লাখ লোক ফিরবে। কী দিয়ে আটকাবেন তাদের? যেহেতু কারখানা খোলা রোজ এই লাখ লাখ মানুষ পোশাক কারখানায় যাবে, আবার ফিরবে। আটকাবেন কোন যুক্তি দিয়ে? মূলত এই ঘোষণায় লকডাউনই কাযর্ত অচল হয়ে গেল।”
–
মোঃ জহিরুল ইসলাম (রাজু)
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
ফেনীর প্রতিদিন ও ফুলগাজী নিউজ ডটকম।