আবদুল মান্নানঃ অতিবৃষ্টি ও ভারতীয় উজানের পানিতে গত বৃহস্পতিবার (১ লা জুন) পরশুরামপর বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনে ইউনিয়নের সাতকুচিয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে স্থানীয় শতাধিক কৃষকের বীজতলা, ফসলি মাঠ,রাস্তাঘাট,ঘরবাড়ি। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
শনিবার(৩জুলাই) বিকালে এইসব ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শনে আসেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান। এসময় তিনি সরজমিনে কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। একইসাথে জেলা প্রশাসক বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের জন্য ঘর আশ্রায়ন প্রকল্প পরিদর্শন ও সমসের গাজী দীঘির পাড় কেন্দ্রীয় ঈদ গাহের উন্নয়নের কাজও পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক কহুয়া নদীর বাঁধের পাশের মাটি কেটে বাঁধ বাঁধার জন্য নিষেধ করেন। অন্য কোন স্থান থেকে মাটি কেটে ভাঙ্গাবাঁধ ভরাট করার পরামর্শ দেন।এসময় তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা’কে বার বার কাজ না করে স্থায়ীভাবে কহুয়া ও মহুরী নদীর বেরিবাঁধের স্থায়ী সমাধানের নির্দেশ দেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক অনুমোদন আসলে স্থায়ীভাবে কহুয়া ও মহুরী নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে। তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধান করার জন্য বেড়িবাঁধ থেকে মাটি কাটা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দত্ত জানান, বেড়িবাঁধ বাঁধায় বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজের বরাদ্দ দিবে এবং তারাই বরাদ্দকৃত কাজের তদারকি করবে।
জেলা প্রশাসক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ান প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের জমিদান ও আশ্রয়হীনদের ঘর দান বক্সমাহমুদে নির্মাণাধীন প্রধানমন্ত্রী উপহার ১৮ টি ঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক কাজে গতি আরও বাড়িয়ে আগামী ২০ তারিখে মধ্যে ঘর বুঝিয়ে দেওয়ারা জন্য নির্দেশ দেন।