ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরডুব্বা গ্রামে চাঁনগাজী খালের উপর একটি সেতু না থাকায় চরম দুর্ভোগে দুপারের প্রায় ৫ হাজার মানুষ। জনপ্রতিনিধিদের অনেক প্রতিশ্রুতি আর দীর্ঘ তিন যুগ অপেক্ষার পরও মাত্র ২০ ফুটের একটি সেতু পায়নি এখানকার জনগন। প্রতিদিন মসজিদ, মক্তব ,মাদ্রাসাসহ ৪টি বিদ্যালয়ে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
চরম দুর্ভোগের মধ্যে অসুস্থ্য, প্রতিবন্ধি, শিশুসহ বিভিন্ন বয়ষের নারী ও পুরুষদের চলাচল করতে হয়।
স্থানীয় কৃষক মাবুল হক বলেন, পশ্চিম চর ডুব্বা ও পূর্ব চরডুব্বা গ্রামের মাঝে চাঁনগাজী খালের উপর সেতু না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুপারের লোকদের। ফসলি জমিতে যাতায়াত, ফসল ও গবাধি পশু আনা-নেয়ায় অনেক কষ্ট হয়। মানুমিয়ার বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মারজান আক্তার মিতু বলেন, সাঁকো দিয়ে যাতায়াতে ভয় লাগে। মাঝে মধ্যে ছোটরা পানিতে পড়ে যায়।
হাজী রহিম উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাকসুদা বেগম বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দুর্ভোগের বিষয়টি প্রায়ই শুনতে হয়। বর্ষাকালে ওই সাঁকো পানিতে তলিয়ে গেলে প্রায় ৫কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের। আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল আলম বলেন, চর লামছি ডুব্বা সড়ক, সোনাপুর বাজার সড়ক, মানুমিয়ার বাজার সড়ক পাকাকরন ও চাঁনগাজী খালের উপর সেতু নির্মানের জন্য উপজেলা এলজিইডি ও পিআইও দপ্তরে আবেদন জমা দেয়া আছে। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারনে এখানকার জনগনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সাফিয়া খাতুন নামে এক বৃদ্ধা বলেন এ গ্রামের দক্ষিণ পাশে বর্তমান সংসদ সদস্য জেনারেল (অব:) মাসুদ উদ্দিন চৌধূরীর বাড়ি। এ দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে সাংসদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এলজিইডির সোনাগাজী উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, অতি গুরুত্বপূর্ন বিবেচনায় এ সেতুটি শীঘ্রই নির্মান করা হবে।