সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংকাররা তো পানই এমনকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মী মারা গেলেও প্রতিষ্ঠান থেকে নানা ধরেনর সুযোগ সুবিধা পান। করোনা আক্রান্ত হলে তো বিশেষ প্রণোদনা আছে। কিন্তু সাংবাদিক মারা গেলে!?
এই যে গতরাতে সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকন ভাই মারা গেলেন। আমি জানি না তার পরিবারের ভবিষ্যত কী?শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। ডাক্তারদের সন্দেহ, তিনি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও এখনো পরীক্ষা হয়নি। নিশ্চিতও হওয়া যায়নি। তবে এটা নিশ্চিত করতে পারি সাংবাদিকরা মারা গেলে তাদের পাশে প্রতিষ্ঠান থাকবে না।
অন্য যে কোন পেশায় ২৫-৩০ বছর চাকুরি করলে অবসরকালে একটা বড় অর্থ পান। প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান বাদে বাকি সাংবাদিকরা তাদের বকেয়া বেতনটাও পানন না। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই চলছে। যুগের পর যুগ। সবার দুঃখ কষ্ট নিয়ে সাংবাদিকরা লেখেন। কিন্তু তাদের কষ্ট কেউ জানে না।
এই দেশে সাংবাদিকরা যেভাবে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হন আর কেউ সেভাবে হন না। অথচ একদল নেতা প্রতিবছর ভোটে দাঁড়াবেন। অনেকে টাকা-গাড়ি বানাবেন। কিন্তু সত্যিকারের পেশাদার সাংবাদিকদের কষ্টের শেষ নেই। আর আমাদের মফস্বলের সাংবাদিক হলে তো কথাই নেই।
বাইরের মানুষ মনে করে সাংবাদিকরা কতো না টাকা ক্ষমতার মালিক। অসৎ সাংবাদিকদের কথা বাদ দেন, সেটা সব পেশাতেই এক। কিন্তু অন্য সব পেশায় যোগ্য, দক্ষ, ভালো মানুষের মর্যাদা আছে। ভবিষ্যত আছে। সাংবাদিকতায় নেই। আমার ধারণা এই দেশের সৎ সাংবাদিকদের ৯৯ ভাগের জীবনটা ভয়াবহ যন্ত্রণার।
ঠিক জানি না আর কবে এই পরিস্থিত বদলাবে। পরপারে ভালো থাকবেন খোকন ভাই।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উত্তরা রিজেন্ট হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক খোকন সবাইকে কাঁদিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।