নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (সিসিইউতে) চিকিৎসাধীন যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের অবস্থার অবনতি হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে বুকে তীব্র ব্যাথার সাথে তার হার্টের বিট অনেক দ্রুত ও অনিয়মিত হচ্ছে। সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে বিএসএমএমইউ’র একাধিক ডাক্তার জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, দীর্ঘদিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। কিছুদিন হলো বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু হৃদকম্পন দ্রুত ও অনিয়মিত হওয়ায় কিছুদিন হলো তাকে পুনরায় সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
সম্রাটের স্ত্রী শারমিন সম্রাট চৌধুরী মুঠোফোনে ফুলগাজী নিউজ ডটকম’কে জানান , আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে ওপেন হার্ট সার্জারী ও ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয় সম্রাটের। দীর্ঘদিন বন্দী থাকায় উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, সম্রাট তো কোন বড় ধরনের অপরাধ করেনি, অন্যায় অনিয়ম বা দেশের কোন ক্ষতিও করেনি। এরচেয়ে বড় বড় অপরাধীরা দিব্যি প্রশাসনের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, অথচ সামান্য একটা অভিযোগে সম্রাটকে তিলে তিলে মরতে হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি সম্রাট দ্রুত মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিন।
এভাবে চলতে থাকলে তিনি অবহেলায়, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করবে।
উল্লেখ্য, সম্রাট ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ওই দিন দুপুর ২টার দিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে বাহিনীটির একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। কার্যালয়ে অবৈধভাবে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।