মোর্শেদঃ সবারই ইচ্ছে করে আরো দীর্ঘ সময় এই পৃথিবীতে বাঁচতে। কিন্তু বিধির বিধানকে ফেলে দেয়ার সাধ্য পৃথিবীতে কারো নেই। তারপরও মানুষ আশা নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে।
নুপুরের আকুতি–
“আল্লাহ এই দুনিয়ায় আমি আরো কিছু সময় বাঁচতে চাই– আম্মু, তুমি আল্লাহকে বলো আমার বাঁচতে ইচ্ছে করে”
অসুখে কী দূর্ঘটনায় কিংবা স্বাভাবিক মৃত্যু যেকোনো বয়সেই হতে পারে। এটিই নির্মম সত্যি যে, একে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কারো নেই ।
সংগীতে তালে তাল মিলানো নুপুরের কথা নয়, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সীরহাটস্থ দঃ তারালিয়া চৌধুরী বাড়ির কিশোরী নাজনীন চৌধুরী নুপুর বাঁচতে চায় আরো কিছু সময়।
আল্লাহর কাছে নুপুর নামের মেয়েটি বারবার ফরিয়াদ করে -“আল্লাহ এই দুনিয়ায় আমি আরো কিছু সময় বাঁচতে চাই– আম্মু, তুমি আল্লাহকে বলো আমার বাঁচতে ইচ্ছে করে” নুপুরের মা খোদার নিকট মেয়ের এমন হৃদয় নিংড়ানো আকুতিতে বারবার মূর্ছা যায়।
সংগীত ভুবনে নুপুরের শব্দ দর্শক বিমোহিত করলেও ফুলগাজীর শান্ত মেয়ে নুপুরের শব্দ যেন হারিয়ে গেছে অজানা কোন গন্তব্যে।
উপজেলার মুন্সীরহাট আলী আজম স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুপুরের শরীরে বাসা বেঁধেছে দূরারোগ্য ব্যাধি। নুপুরের দুটো কিডনীই দিনদিন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে পরিবারটি। নুপুরের পিতা আঃ মান্নান ফেনী শহরে সামান্য টংয়ের দোকান চালিয়ে ৫ জনের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে সীমাহীন কষ্ট করছে সেখানে মেয়ের এমন অবস্থায় দুচোখে অশ্রু ঝরছে। আনমনা হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আদুরে মেয়ের দিকে সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকে। অভাব অনটনের সংসারে সমাধানের কোন উপায় নেই ! প্রতিদিন রাজধানীতে থেকে মেয়ের কিডনি ডায়ালোসিস করতে যায় ৫ হাজার টাকা। চিকিৎসক বলেছে দুটো কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ব্যায় হবে ত্রিশ লক্ষাধিক টাকা। চিকিৎসকের এমন কথায় যেন পরিবারটি স্তম্ভিত হয়ে গেলো বজ্রপাতের মতো।
আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু -বান্ধব সহপাঠী সহ নিজ এলাকার সবাই থমকে দাঁড়ালো গ্রামীণ মেঠো পথে হেলে দুলে বেড়ানো শান্ত বা দুরন্ত মেয়েটির কথা শুনে। হতাশার সুরে মেয়েটি যাকে দেখে বলতেই থাকে সে বাঁচবে তো..
সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মেয়েটি হয়তো ফিরে আসতে পারে সকলের মাঝে।বর্তমানে নুপুর রাজধানীর খ্যাতনামা শমরিতা হাসপাতাল হয়ে ধানমন্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ কনসালটেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কিডনি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, কিডনির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ নিজামউদ্দিন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে নুপুরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ডাক্তার জানান, প্রয়োজনে নুপুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যহত থাকবে, কিন্তু এটি একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। জরুরী ভিত্তিতে ৩০-৩৫ লক্ষ টাকা যোগাড় করতে না পারলে অকালে ঝরে যাবে একটি নিষ্পাপ কিশোরী।
দেশ,সমাজের মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষের নিকট নুপুর বাঁচার আকুতি জানিয়ে একটু সাহায্যের আবেদন করছে।
ধনাঢ্য, বিত্তবান, সমাজ হিতৈষী মানুষের নিকট খরচের কয়টা টাকা বাঁচিয়ে হত দরিদ্র নুপুরকে বাঁচাতে সবাই এগিয়ে আসবে এমন প্রত্যাশা নুপুরের বাবা-মায়ের..
অনুরোধক্রমে সাহায্য পাঠাতে চাইলে যোগাযোগ করুন —
প্রধান শিক্ষিকা
মুন্সীরহাট আলী আজম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
মোবাইলঃ ০১৭২১-০২৮২৩৯
পারুল আক্তার ( নুপুরের মা)
০১৮২৩-১৭২১৩৬ (বিকাশ)
AB BANK (FENI BRANCH)
SB A/C NO:4137-205676-300