আরিফ আজম : ফেনীর সোনাগাজী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব টেকনেশিয়ান আক্রান্তের ঘটনায় করোনা ভাইরাসের গণসংক্রমন ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্টরা। অন্য এলাকা থেকে না এসেও সংক্রমিত হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ সহ সচেতন মহল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপসর্গ ছাড়াই উপজেলায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে আজ বুধবার ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৭ জন করোনা সংক্রমন ব্যক্তির পরিবারের সদস্য ও ৫ জন তার প্রতিবেশি।
সোনাগাজী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডা. নুরুল্লাহ ফেনীর সময় কে জানান, তার প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী অাসা-যাওয়া করতেন। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তিও এলাকায় ঘোরাফেরা করতেন। এতে সামাজিক সংক্রমন হয়েছে বলে তার আশংকা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাশ ফেনীর সময় কে জানান, অন্য কোথাও থেকে আসা-যাওয়া না করায় করোনা আক্রান্ত হওয়া দু:শ্চিন্তার বিষয়। তবুও শনাক্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেব ফেনীর সময় কে জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা লোকজন গণপরিবহনে চলাচল করেছে। অপরিচিতদের সাথে মিশেছে। সামাজিক সংক্রমন হওয়ায় কিছু করার নেই। তবে ল্যাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা ব্যক্তিদের নাম্বার দেখে তাদের নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন ফেনীর সময় কে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি সোনাগাজী ক্লিনিকে কর্মরত অবস্থায় অনেকে সেবা নিতে এসেছেন। তাদের মাধ্যমেও তিনি সংক্রমিত হতে পারেন। এছাড়া তার সহকর্মীরা বাসা-বাড়ি ও স্বজনদের সংস্পর্শে ছিলেন। কতজন সংক্রমিত হয়েছেন তা নিরুপন করা সম্ভব নয়। তবে তার সাথে কথা বলে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজ করছেন।
©ফেনীর _সময়