জহিরুল ইসলাম রাজুঃ ফুলগাজীতে আবারো বন্যায় মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর জয়পুর অংশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সদ্য মেরামতকৃত স্থান আবারও ভেঙে ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের জয়পুর, কিসমত ঘনিয়া মোড়া, পূর্ব ঘনিয়া মোড়া, পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া ও দৌলতপুর সহ ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে সদর ইউনিয়নের জয়পুরে সদ্য মেরামতকৃত স্থান আবারও ভেঙে যায়। মূহুর্তেই তলিয়ে যায় ঘর-বাড়ি ও মাছের ঘের । এদিকে পানির খরস্রোতে দ্বিতীয়বার নষ্ট হচ্ছে রোপনকৃত আমন ধান ও ফসলি জমি। দুপুর ১টা থেকে ফুলগাজী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক পানি উঠে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন এবছরের জুন-জুলাই মাসে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি উজানের পানিতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল। এসময় মুহুরী ও কহুয়া নদীর তিনটি অংশের ভাঙ্গন মেরামতে অর্ধ কোটি টাকা বরাদ্দও দেয়া হয়েছিল। তিন মাস পার হলেও কোন ভাঙ্গন এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে মেরামত করেনি বা কাজ সম্পন্ন করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাসেম ট্রেডার্স। এসব কাজে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো জয়পুর অংশে বেরিবাঁধে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে ৭ গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল ।একই স্থানে ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে আবারো বেড়িবাঁধে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল নয়টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ৯০ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। ভারতীয় উজানের পানিতে নদীতে অতিরিক্ত প্রবাহের ফলে বেরিবাঁধে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।