নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফেনীর ফুলগাজীতে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থেকে দাপিয়ে বেড়ানো নেতা সামছুল আলম ভূইয়া সময়ের ব্যবধানে বনে গেলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ২০১১ সালের আমজাদহাট ইউনিয়ন শাখার কমিটিতে সদস্য তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আমজাদহাট ইউনিয়ন শাখার সদ্য অনুমোদনকৃত কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে তালিকার ৩ নাম্বার রয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে আমজাদহাট ইউনিয়নের চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক আলোচনা ও সমালোচনা। যোগ্য, অভিজ্ঞদের অবমূল্যায়ন ও নবীনদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ায় তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে তুমুল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে।
আমজাদহাট ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য থেকে এক লাফে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় তাকে নিয়ে চলছে চরম বিতর্ক।বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় একজনকে আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ায় জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাদের নিয়েও চলছে নানা সমালোচনা।
সামছুল আলম ভূইয়ার সাথে রাজনীতি করা অনেকেই বলেছেন, সে কয়েক বছর আগেও বিএনপির নেতাদের সাথে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হঠাৎ করেই আমজাদহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বনে গিয়ে সবাইকে তাজ্জব বানিয়ে দিয়েছেন।
ইউনিয়ন বিএনপি সূত্রে জানা যায়, সামছুল আলম ভূইয়া গত ১১-১২-২০১১সালে আমজাদহাট ইউনিয়ন কমিটিতে সদস্যপদ লাভ করেন। আলম ভূইয়া বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেনি কিংবা তাকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা জানান, আলম ভূইয়ার বাবা এবং সে গত কয়েক বছর আগেও বিএনপির সাথে যুক্ত ছিলেন। এখন সে টাকা বিনিময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদটা কিনে নিয়েছেন। এতে করে আমরা তৃনমূল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হতাশ।
জানা গেছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সামছুল আলম ভূইয়া গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় ফেনী পৌরসভাস্থ আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে ৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরমও ক্রয় করেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে নব্য আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম ভূইয়াকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টা কিভাবে এটা নিয়ে আমি আপনাকে পরে জানাবো, এগুলো নিয়ে এখন কথা বলতে পারছি না। এখন কোন বক্তব্য দিতে পারবো না আমি একটা মিটিং এ আছি “।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম মজুমদার জানান, আওয়ামী লীগ ১৫ বছর যাবত ক্ষমতায় রয়েছে, অনেকে বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। ওনি গত বছর থানা আওয়ামী লীগের সাথে যোগ দিয়েছেন। ওইখানে আমাদের সংগঠন দুর্বল ছিল সংগঠনের স্বার্থে তাকে নেয়া হয়েছে।