বিশেষ প্রতিনিধি : ফেনী দাগনভূইঁয়া উপেজেলার কেরোনীয়া গ্রামের প্রবাসী নজরুলের কাছে সন্ত্রাসী সবুজ ও তুষার বাহিনীর বিশ লেলক্ষ টাকা দাবী। চাঁদা না পেয়ে নজরুলের বসত বাড়ীতে ভাংচুর, রাস্তা বন্ধ করে বোমা ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টির অভিযোগ। থানায় মামলা করা হয়েছে ঘটনাস্হল এএসপি সার্কেল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, দাগনভূঁইয়ান আজিজ ফাজিলপুর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আবুল বাশার সবুজ ও কেরোনীয়ার আবু আহম্মেদ’র সন্ত্রাসীপুত্র তুষারের নেতৃত্বে ৫০/৬০ সন্ত্রাসী অবৈধ অস্ত্র ও ধারালো চুরি, কিরিচ বিস্ফোরক, দেওয়াল ভাঙ্গার হ্যামার এবং মাতুল নিয়ে প্রবাসী নজরুলের বাড়ীতে আক্রমন চালায়। সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে নজরুলকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এসময় নজরুল বাড়ীতে ছিলনা। নজরুলকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বাড়ীর দেওয়াল হ্যামার দিয়ে ভেঙ্গে একটি লোহার গেইট লাগিয়ে বাড়ী দখলের চেষ্টা করে।
সন্ত্রাসীদের তান্ডবচলাকালে গ্রামবাসীরা এগিয়ে আসতে চাইলে বোমা ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করা হয়। গত ২৯ আগস্ট সকাল ১০ টার সময় প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী তান্ডবে গ্রামবাসী হতবাক।
সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকি ধামকির কারণে নজরুলের পরিবার আতংকিত।
নজরুল জানায়, ঘটনা চলাকালে আমি থানার সহযোগিতা চেয়ে না পেয়ে এসপি মহোদয়কে বিষয়টি বার বার অবহিত করি। এসপি স্যার পুলিশ কে ঘটনাস্হলে যেতে নির্দেশ দিলেও পুলিশ যায় ৪ ঘন্টা পর। অথচ দাগনভূঁইয়া থেকে কেরোনীয়ার দূরত্ব দশ মিনিট। সন্ত্রসীরা আমার বাড়ীতে তান্ডব চালায় সকাল ১০ থেকে।
এর আগে দাগনভূঁইয়া থানার এএসআই নাজহুদার নেতৃত্বে পাঁচ পুলিশ আমার বাড়ীঘর তছনছ করে। আমার নামে ভূয়া ওঢারেন্ট আছে বলে ভয় দেখায়। এএসআই বলেন, ওসি সাহেব নির্দেশ দিয়েছেন, এই বাড়ীর মালামাল ট্রাকে ভরে থানায় নিয়ে যেতে। এসময় নাজমুল ও সঙ্গীয় ফোর্সেরা আমার বাড়ীর কাজের ছেলে বেচুকে মারধোর করে।
গতকাল ৩১ আগস্ট আমি এসপি মহোদয়ের সাথে দেখা করে বিষয়টির বর্ননা দিলে তিনি মামলা করতে বলেন। থানায় মামলা গ্রহন করলেও এখনো পর্যন্ত স্মারক নং দেয়নি। মামলার বাদী নজরুলের পিতা আবুল হোসেন বলেন,গতকাল থেকে কয়েকবার দাগনভূঁইয়া থানার ওসি তদন্ত ছমি উদ্দিন সাহেব আমার বাড়ীতে আসেন। তিনি আমাকে মামলা না করে থানায় বসে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করার প্রস্তাব দেন।
উল্লেখ্য, ওসি তদস্ত ছমি উদ্দিন সন্ত্রাসী সবুজের ঘনিষ্ট। একারণে দরখাম্ত গ্রহন করলেও মামলা নথিভুক্ত করতে গড়িমসি করছেন।