নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কমিটি আংশিক ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নের চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক আলোচনা ও সমালোচনা। যোগ্য, অভিজ্ঞদের অবমূল্যায়ন ও নবিনদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ায় তৃণমূল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে তুমুল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে।
উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান নিলয়কে নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। উপজেলা জাসদ ছাত্রলীগের সদ্য সদস্য থেকে এক লাফে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় তাকে নিয়ে চলছে চরম বিতর্ক। জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় একজনকে ছাত্রলীগের মতো সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ায় জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাদের নিয়েও চলছে নানা সমালোচনা।
নিলয়ের সাথে রাজনীতি করা অনেকেই বলেছেন, সে কিছুদিন আগেও জাসদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজিব সুলতানের সাথে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হঠাৎ করেই আমজাদহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বনে গিয়ে সবাইকে তাজ্জব বানিয়ে দেন।
এই বিষয়ে উপজেলা জাসদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজিব সুলতান প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, গত ১৮ মার্চ জাসদ ছাত্রলীগ ফুলগাজী উপজেলা শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কমিটিতে সদস্য হিসাবে মনিরুজ্জামান নিলয়ের নাম রয়েছে। আমাদের কমিটিতে ওর নাম লিখা আছে মোঃ নিলয় সে ছাত্রলীগের পদ পাওয়া জন্য মনিরুজ্জামান নিলয় ব্যবহার করেছে।
তিনি আরও বলেন, নিলয় আমার এলাকার ছোটভাই, সেই সুবাদে তাকে রাজনীতিতে এনেছি। সে জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ও সরব ছিলেন। হঠাৎ জানতে পারলাম নিলয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হয়েছেন। এতে আমরা বিস্মিত হয়েছি। নিলয় জাসদ ছাত্রলীগের থেকে পদত্যাগ করেনি কিংবা তাকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একজনকর্মী জানান, নিলয় গত মার্চ মাসে জাসদ ছাত্রলীগে উপজেলা শাখার সদস্য হয়ে এখন সে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। অন্যদিকে ইউনিয়ন কমিটি আসা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মজুমদার একজন বিবাহিত যুবক তাকে কি করে পদ দেওয়া হয়েছে এনিয়ে চলছে ইউনিয়ন জুড়ে তুমুল তর্ক বিতর্ক ও সমালোচনা।
এই বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সামছুল হক রাশেদ বলেন, জাসদের মতো মূল দলের কমিটিতে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে সদস্য হওয়ার সুযোগ নেই। বিবাহিত সদস্য ছাত্রলীগের কমিটিতে এসেছে এটা অবগত ছিলাম না। যদি এসব অভিযোগ সত্য হয় তবে আমরা খুব শীঘ্রই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে তাদের ছাত্রলীগের পদ থেকে অব্যাহতি দিবো।
এসব বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, জাসদ থেকে ছাত্রলীগে এসেছে এবং বিবাহিত সদস্যপদ পেয়েছে এমন অভিযোগ শুনেছি। যদি এসবের সত্যতা পাওয়া যায় তবে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার আগেই তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হবে।