বিশেষ প্রতিনিধি:ফেনীর ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুর গ্রামের মিয়াজী বাড়ির হাজী মোঃ সিরাজুল হক মিয়াজী কে জায়গা জমি সংক্রান্ত মামলা কে কেন্দ্র করে তার প্রতিবেশি কিছু পরিবার প্রতিনিয়ত নানাভাবে হুমকি-ধামকি ও হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে সিরাজুল হক মিয়াজী বন্ধুয়া তালপুকুরিয়া থেকে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামে জায়গা কিনে বাড়ি ঘর করে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু এখানে জায়গা কিনে বসবাসের শুরু থেকে আজ অব্দি তাকে ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ঘটনা সাজিয়ে ও বিভিন্ন অভিযোগ বিভিন্ন জায়গায় করে মানসিক শারীরিকভাবেও লাঞ্ছনা দিয়ে আসছে। সম্প্রতি তার প্রতিবেশী কিছু হিন্দু পরিবার জায়গা সংক্রান্ত একটা মামলা ইউনিয়ন পরিষদে করলে মিয়াজী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ন্যায় বিচার না পাওয়ার সংখ্যা উপলব্ধি করতে পেরে এবং যথাযথ সুবিচার পাওয়ার আশায় মামলাটি জেলা জজের আদালতে স্থানান্তরিত করে নিয়ে যায়। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
কিন্তু এই বিচারাধীন মামলা কে কেন্দ্র করে ওই হিন্দু পরিবার জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে,ডিসি অফিস থেকে শুরু করে,হিন্দু বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে শুরু করে,উপজেলা ইউএনও অফিস থেকে শুরু করে সর্ব জায়গায় বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে একের পর এক হয়রানি করতেছে মিয়াজী ও তার পরিবারকে।
মিয়াজী জানান, আমার বসত বাড়ির জায়গার কিছু অংশ পাশের হিন্দু বাড়িতে ঢুকে গেছে যার যথাযথ দালিলিক প্রমাণ ও কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে তারপরও আমি আজকে এত বছর তাদের কাছে ওই জায়গা আমার হওয়া সত্ত্বেও আমি দাবি করি নাই বা ছেড়ে দিতে বলিনি কারণ ওই হিন্দু বাড়ির সকলের আর্থিক অবস্থা এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে আমি জোর জবরদস্তি করিনি। কিন্তু সে জোর জবরদস্তি না করে মানবিকতার পরিচয় দেওয়াটাই আমার কাল হয়েছে হিন্দু পরিবারগুলো নিজে এবং অন্যান্য বিভিন্ন রাঘববোয়াল এর পরামর্শে আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে এবং কি আমার জায়গা আমি তাদের কাছে গিয়ে দাবি না করা সত্ত্বেও ইউনিয়ন পরিষদে মামলা করে জায়গা তাদের বলে এবং তাদের কাছে কাগজপত্র আছে বলে আমার কাছে নাই বলে বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। আমার কথা হল আমি যদি চাইতাম আমি কি আমার জাগার ন্যায্য দাবী করতে পারতাম না বা করি নাই দেখে আমাকে একটার পর একটা ঘটনা কে ইস্যু করে দিনের পর দিন এই ভাবে হয়রানি করবে। আমি এবং আমার পরিবার খুবই শান্তশিষ্ট এবং শান্তি পছন্দ করি বলে আমরা আমাদের মতো করে থাকি কারো সাথে কোন রকম বিবাদে জড়াতে চাইনা। এই শান্তি তাই হয়তো তাদের এবং তাদের সাথে আরো অনেকের পছন্দ হচ্ছেনা।
নিয়মিতভাবে এইসব হয়রানি অপমান লাঞ্ছনা শিকার হতে হতে আমি এবং আমার পরিবার মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত ও চিন্তিত। আদালতে মামলা বিচারাধীন সেই মামলায় যে রায় হবে সে রায় আমি মাথা পেতে নেব কিন্তু মামলা শেষ হওয়ার আগে আমি এবং আমার পরিবার ওদেরকে গালিগালাজ করতেছি ওদেরকে,হয়রানি করতেছি,ওদেরকে হুমকি দিচ্ছি এই সব মিথ্যা বানোয়াট কথা বিভিন্ন জায়গায় বলে কয়দিন পর পর আমাকে ও আমার পরিবারকে মানসিক, শারীরিক লাঞ্ছনা ও আইনগত হয়রানি করার তো কোনো মানে হয় না !!
তিনি আরও জানান, তাদের কাছে যদি সত্যিই যথাযথ দলিলপত্র কাগজ প্রমাণাদি থেকে থাকে তাহলে সেটা মহামান্য আদালতে প্রমাণ হবে এবং মহামান্য আদালত যে রায় দিবে সে রায় প্রযোজ্য হবে। আমি উপজেলা,জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং মহামান্য আদালত কেন্দ্রিক সকলের কাছে আমার এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও এই হয়রানি থেকে পরিত্রাণের জন্য সাহায্য কামনা করছি। দিনের পর দিন এই হয়রানি অপমান অপদস্থ করা হচ্ছে বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকে ৪০ বছর আমার পরিবার জিৎ কামড়িয়ে সহ্য করছে আমাদের কি শান্তিতে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নেই???
ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে যানা যায়, সদ্য নির্মিত পাকা সড়কের প্রশস্ততার অজুহাতে যথেষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও মিয়াজী বাড়ির পুকুর পাড়ে একটি বিশাল সীমানাপ্রাচীর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যে হিন্দু পরিবার বিভিন্ন জায়গায় মামলা বিচারাধীন থাকা সত্বেও মিথ্যা অভিযোগ করে মিয়াজী ও তার পরিবারকে হয়রানি করছে সেই হিন্দু পরিবার এবং তাদের বাড়ির সবাই তার পুকুর পাড়ের রাস্তা দিয়ে তাদের বাড়িতে চলাফেরা করে এবং কি করতেছে। উনাদের বাড়ীর লোকজন প্রয়োজন ছাড়া তাদের গেইটের বাইরে দেখা যায় না।
উল্লেখ্য সম্প্রতি বন্যা কবলিত হয়েছে গ্রামটি তখন ওই হিন্দু বাড়ির গরু ছাগল যখন পানির কারণে কোথাও রাখতে পারছিল না তখন মিয়াজী বাড়ির উঠানে এনে রাখে বলে নাম প্রকাশ না করা এলাকার বিভিন্ন জনের থেকে এটি জানা যায় এবং তারা আরো বলেন এমন শান্তশিষ্ট পরোপকারী মানুষ এবং তার পরিবারের প্রতি যুগের পর যুগ এভাবে অন্যায় অবিচার আমরাও দেখে আসছি এবং তারাও মুখ বুঝে সহ্য করছে।