নিজস্ব প্রতিবেদক : ফুলগাজী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে শিক্ষক কর্তৃক বেত্রাঘাতে আহত করার বিষয় তার বাবা জিয়াউদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবেদক কে জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক সাথে সহকারী শিক্ষক লোকমান, হানিফ ,মিজান ও নিলুফা ম্যাডাম সাথে দুইজন ছেলেকে ভিডিও মোবাইল নিয়ে তার বাড়িতে যায়।
নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আলাদা ঘরে নিয়ে জোর প্রয়োগ করে এবং স্কুলের শিক্ষিকা নিলুফা ম্যাডাম বলেন “তোমাকে কেহ জিজ্ঞেস করলে তুমি বলবা তোমার হাত আগেই ভাঙ্গা ছিল, আর যদি না বল তাহলে তোমার বিয়ে হবে না এবং তোমাকে পরীক্ষায় আমরা পাস করাবো না। তোমাকে যে চিকিৎসা করা হয়েছে সঠিক চিকিৎসা হয় নাই। আমরা বিকেলে তোমাকে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে আরো ভালো চিকিৎসা দেব। আমরা যে এসেছি এ কথা কাউকে বলবানা এবং কোন সাংবাদিককে এ বাড়িতে জায়গা দিবা না, তাদেরকে এসব বিষয়ে কিছুই বলবা না ” এসব কথা বলা অবস্থায় সঙ্গে নিয়ে যাওয়া দুজন ছাত্র প্রমাণ স্বরূপ তাদের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন।
শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, এমন ঘটনায় শিক্ষকরা বাড়িতে এসে ছাত্রীকে জোর প্রয়োগ করে এত কিছু বলে ভিডিও করার কি কোন নিয়মের আওতায় পড়ে! ?
পরবর্তীতে মেয়ের বাবা জিয়া উদ্দিন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম এর কাছে ফোন করে এ বিষয়ে অবগত করে করেছে।
এ বিষয়ে জানতে ফুলগাজী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেনের কাছে ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে অভিযুক্ত শিক্ষক লোকমান হোসেনের কাছে ফোন করলে তিনি জানান, আমরা ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা জানতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম এবং অনাকাঙ্খিত এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছি। তার সুস্থতায় ভালো চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে এসেছি। আমরা কথা বলা অবস্থায় বাইরের একজন ছেলে ভিডিও করতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাকে নিষেধ করেন। আমরা তাকে কোন কিছু শিখিয়ে দিয়ে জোর করে বক্তব্য রেকর্ড করেছি এ অভিযোগ মিথ্যে।
উলেখ্য, কয়েকদিন পূর্বে ফুলগাজী পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মায়মুনাকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষক লোকমান হোসেন মোটা বেত দিয়ে পিটিয়ে হাত জখম করে দিয়েছেন।