পরশুরাম প্রতিনিধি : আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির হাটবাজারের বিক্রির জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদারের খামারের মজুমদার এগ্রো খামারে।
পরশুরাম বাজারের ডাকবাংলো মোড়ে কলেজ রোডে বিশাল জায়গা জুড়ে গড়ে তুলেছেন খামার বাড়ি। তার খামারে বর্তমানে প্রায় দুইশ কোরবানিযোগ্য হৃষ্টপুষ্ট সুস্থ-সবল বড় গরু। যার বর্তমান বাজার মুল্য আনুমানিক কোটি টাকার উপরে বলে জানিয়েছেন কামাল চেয়ারম্যান। কামাল চেয়ারম্যানের খামারের কর্মচারীরা রাত দিন পরিশ্রম করে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন বলে জানান কর্মচারী ফারুখ।
পরশুরাম উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো ইছমাইল হোসেন জানান আসন্ন কোরবানির জন্য পরশুরাম উপজেলায় প্রায় ১০হাজার গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে। উপজেলায় ছোটবড় ৩৫টি বানিজ্যিক খামারিদের কাছে মজুদ রয়েছে ৮ হাজার ৪শ ৩১টি ষাঢ়, বলদ, গাভী জাতীয় গরু রয়েছে। এছাড়াও ব্যাক্তিপর্যায়ের রয়েছে গননার বাইরে আরো দেঢ়/দুইহাজার গরু।
ডাক্তার ইছমাইল হোসেন আরো জানান কোনবানির জন্য স্তানীয় গবাদি পশুদিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। উপজেলায় একাধিক ছোট বড় খামারিতে বেড়েছে গরুর সংখ্যা। ফলে কোরবানির সময় গরুর জন্য আর ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কার্যালয় থেকে জানা গেছে শীর্ষ দুই বানিজ্যিক খামার চেয়ারম্যান ও মেয়রের খামার ছাড়াও উপজেলায় সমবায় সমিতির মাধ্যমে গড়ে উঠা খামারও রয়েছে। গুথুমা চৌমুড়ী গ্রামের বাসিন্দা কাউন্সিলর রসুল আহাম্মদ মজুমদার স্বপন এর সমিতিতে ৬৫টি গরু রয়েছে, এছাড়াও বিলোনিয়ার হাবিবের খামারে রয়েছে ৩৫টি, সলিয়ার কামরুল সহ উপজেলায় বানিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠা ৩৫টি খামারে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য রয়েছে বিপুল পরিমান গবাদি পশু।
গত শনিবার সরেজমিন খামারে গিয়ে দেখা যায় পবিত্র ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে পরশুরামে উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদারের খামারে গরুর বিশেষ যতœ নেওয়া হচ্ছে। ঈদের বাজারে ভালো দাম পেতে খামারিরা পশুর নিবিড় পরিচর্যা করছেন। এছাড়া গরুকে মোটাতাজাকরণের জন্য উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তাদের পরামর্শে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এনে উন্নতমানের দেশীয় খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।
খামারের স্বর্তাধিকারী কামাল উদ্দিন মজুমদার জানান পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে গরু না আসলে এ বছর ভালোই লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তিনি।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও বিজিবির কঠোর নজরদারির নির্দেশনা দেওয়া দাবি জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান সহ খামার মালিকরা ।