ধান চাষের চেয়ে লাভ বেশি এবং একর প্রতি ফলনও দ্বিগুন হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার কৃষকরা। স্থানীয় বাজারে এর চাহিদাও বেশ। ভুট্টা চাষে এই লাভ ধরে রাখার আশা কৃষকদের।
এদিকে ভুট্টা চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। ফুলগাজীর বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রথমবারের মত ব্যাপক আকারে ভূট্টা চাষ করা হয়।
সরজমিনে ফুলগাজী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ইতিমধ্যে ভালো ফলন এসেছে ভুট্টা গাছে। প্রতিটি ভুট্টা গাছে একাধিক মোচা দেখা যায়। ভুট্টা চারার ঘন সবুজ রংয়ে ফসলের মাঠ অপরূপ রূপ ধারণ করেছে। অনেকে ফসল ঘরেও তুলেছেন।
ভুট্টা চাষিরা জানায়, প্রতি একর জমিতে ৩৫ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে দ্বিগুন টাকা আয় করছেন।কৃষক ফরিদ উদ্দিন জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে ১ম বারের মত ভূট্টা চাষ করে আমি লাভবান। ভূট্টা গাছ গরুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে।ভুট্টা একটি অধিক ফলনশীল দানাজাতীয় শস্য। ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমাণ বেশি। এতে প্রায় শতকরা ১১% আমিষজাতীয় উপাদান আছে। আমিষে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড, ট্রিপটোফ্যান ও লাইসিন রয়েছে। এছাড়া হলদে রঙের ভুট্টাদানার প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে।
ভুট্টার দানা মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং ভুট্টা গাছ ও সবুজ পাতা উন্নতমানের গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা লুৎফল হায়দার ভূঁইয়া জানান, বেলে দোঁআশ ও দোঁআশ মাটি ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ভুট্টার চাষ দ্রুত বাড়ছে।
এ বছর প্রায় ৫০ একর জমিতে চাষ হয়েছে।ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম জানান, ধান করে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় অনেকে পতিত জমিতে ভূট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছে।