মোহাম্মদ এনায়েত উল্যাহ সোহেল : ছাগলনাইয়া থানা প্রশাসনের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ জনসচেতনতা মূলক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১১টায় র্যালিটি ছাগলনাইয়া থানা থেকে বের হয়ে জমদ্দার বাজারে জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
এ সময় র্যালিতে অংশ গ্রহণ করেছেন, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সামছুদ্দিন বুলু মজুমদার, থানা অফিসার ইনচার্জ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিবি জুলেখা শিল্পী, ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মজুমদার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএসও ডাঃ শিহাব উদ্দিন, ঘোপাল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিক, শুভপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সেলিম, থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সুদ্বীপ রায় পলাশ, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন,
বঙ্গবন্ধু ব্লাড ব্যাংক ছাগলনাইয়া’র সভাপতি কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী খোকন, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ এনায়েত উল্যাহ সোহেল, ফেনী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন বাবু, পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিব, জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম স্বপন, মহিলা কাউন্সিলর আলেয়া আক্তার মনজু, সাহেনা আক্তার, উপজেলা আ’লীগের সদস্য মোঃ কফিল উদ্দিনসহ প্রমুখ।
র্যালিটি জিরো পয়েন্টে আসলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন, আমরা যদি আমাদের বাড়ীর ঘরের আশপাশ পরিস্কার রাখি ও জমাটকৃত পানি নষ্ট করে দিই তাহলে এ মশাটি আমাদের আশপাশে জন্ম গ্রহণ করতে পারবে না। এ মশাটি সাধারণত পরিস্কার পানিতে অথ্যৎ বৃস্টির পানিতে জন্ম গ্রহণ করে। তাই আমাদের বাড়ীর আশ পাশে দেখবেন প্লাস্টিকের গোল অংশে বা নারিকেলে খালি অংশে অথবা ফুলের টবে কিছু পানি জমে আছে। এ সব যদি আমরা নিজ নিজ দায়িত্বে পরিস্কার করি তাহলে আমরা অনেকটাই এ মশাকে দমন করতে সক্ষম হবো।
এরপরও যদি কারো ডেঙ্গু হয় তাহলে আমাদেরকে জানাবেন, আমাদের প্রিয় নেতা, ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী ভাই উনার নিজ খরচে চিকিৎসা করাবেন। তাই আক্রান্তরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
এ সময় ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার চাইলেও সবার আঙ্গিনায় গিয়ে সরকারী লোকজন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে দিতে পারবে না। তাই দেশের প্রতিটি মানুষকে দেশকে ভালোবেসে ও নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করিয়া নিজ নিজ বসত ঘরের আঙ্গিনায় পরিস্কার রাকুন, মশারি ব্যবহার করুন। এ মশাটি সাধারণ সম্পাদক ২টি সময়ে বেশি কামড় দেয়। একটি সময় সকালে সূর্য্য উদ্বয় হওয়ার পর ২ঘন্টার মধ্যে ও আর অন্যটি হলো সূর্য অস্ত যাওয়ার ২ঘন্টা আগ থেকে। এ সময়টি কেউ যদি ঘুমায় তাহলে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করবেন। এ ছাড়া সচেতনতাই পারে আমাদের মহামারি থেকে রক্ষা করতে। আশা করছি সরকার অনেকটা সচেতন, তাই অল্প সময়ের মধ্যে আল্লাহ রহমতে আমরা এটি প্রতিরোধ করতে পারবো।