ইকবাল হোসেন সাব্বিরঃ-
ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া পৌরশহরের পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামে মজুমদার পাড়া জামে মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তি ও সামাজিক কবরস্থানের চলাচলের সড়ক ও একই দাগে আরো কিছু ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের খবর পাওয়া গেছে। মসজিদের ওয়াকফ ও কবরস্থানের জায়গা ফিরে পেতে ১২ ফেব্রয়ারী শুক্রবার বিকেল ৪টায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাগলনাইয়া উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মনির আহাম্মদ মজুমদার ও তাঁর ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহাম্মদ মজুমদার এবং মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বাবুলসহ সমাজের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের ভাষ্যমতে, আমাদের মসজিদের নামে মরহুম দলিল কাজী নামের জনৈক ব্যক্তি নিঃশ সন্তান হওয়ায় দীর্ঘ ৩০ বছর পূর্বে উক্ত মসজিদের নামে তার সমস্ত সম্পত্তি মসজিদের নামে ওয়াকফ দলিলে দান করেন। উক্ত দানকৃত জায়গা প্রায় ১০ শতক। যাহা মসজিদের সামনে অবস্থিত। সমাজের কেউ মারা গেলে ওই জায়গাতে জানাযা অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, গত জামায়াত-বিএনপির ক্ষমতার সময়ে বিএনপির সন্ত্রাসী ও ২০০১সালে বিএনপি ক্ষমতাকালীন সময়ে পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামী কালা বাবু ও তার বড় ভাই সন্ত্রসী রুবেল এবং ইয়াবার গড় ফাদার এমপি গোলাম কিবরিয়া সহ ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী মিলে একরাতে ঘর নিমার্ণ করে জায়গা টি দখল করে নেয়। আমরা তখনকার সমাজে বসবাস কারীরা কালা বাবুসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারিনি। ওয়াকফকৃত জায়গার এমনভাবে অবৈধ উপায়ে ঘর নিমার্ণ করেছে যে, কেউ মারা গেলে তাকে কবরস্থ করার রাস্তাটিও বন্ধ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, কবরস্থানে জায়গার মধ্যে টয়লেট বসিয়ে অসামাজিকতা দেখিয়েছে তারা। তারা যেখানে টয়লেট স্থাপন করেছে সেটি থেকে আমাদের সমাজের মরহুমদের কবর মাত্র ৩ ফুট দূরে। তাদের ময়লা আবর্জনা গুলো উক্ত কবরেও পড়তে পারে।
সমাজের বিবেকবানদের কাছে আমাদের প্রশ্ন কবরস্থানে কোন প্রকার টয়লেট স্থাপন করা যায় কি না? আপনারা একটু বিবেচেনা করুন। আপনারা সরাসরি দেখুন এইখানের টয়লেটটি কবরের উপরে এবং অন্য কবরটি উক্ত টয়লেট থেকে মাত্র ৩ফুট দূরে। এখানে আরো উল্লেখ্য থাকে আরেক জনৈক নুরুল আলম মুন্সীর বাড়ী আশ্রাফ আলী মুন্সীর বিরুদ্ধেও একইভাবে অভিযোগ রয়েছে যে, মসজিদের ওয়াকফকৃত রাস্তা পাশের ১৩ শতক জায়গা অবৈধভাবে জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আছে। উক্ত দখলকাররা সন্ত্রাসী প্রকৃতি হওয়ায় সমাজের কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। ঠিক এইভাবে যদি ভূমিদস্যুরা মসেিজরদ ওয়াকফকৃত জায়গা দখল করে তাহলে ভবিষ্যতে কোন ব্যক্তি মসজিদের নামে দান করবে কিনা আপনারাই বলুন। আমরা সমাজপতিরা একসাথ হয়ে উক্ত সম্পত্তিগুলো উদ্ধারের কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। ভূমিদস্যুরা যে জায়গাগুলো দখল করে নিয়েছে সেইগুলো হলো পশ্চিম ছাগলনাইয়া মৌজার হাল দাগ ১২১৮, সাবেক ৯৪২, ৯৪৩, ৯৪৪। আমরা দুই ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধা হয়েও বিএনপির সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে আছি। ওদেরকে আগে সেল্টার গিয়েছে সাইদ এস্কান্দার এখন সেল্টার দিচ্ছে ছাগলনাইয়ার কিছু কথিত আওয়ামীলীগে নেতারা। আগে পরে আমরা সকলের মুখোস জাতীর সামনে খুলে দিবো। প্রয়োজনে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবো। এ সময় আরো এক গ্রামবাসী জানান, এখানে মসজিদের পুকুর খাটলায় আমরা প্রায় ২শ মানুষ ওযু, গোসল করতাম। কেউ মারা গেলে তার জানাযা উক্ত খালি স্থানে পড়তাম, বাচ্ছারা খেলাধুলা করতো ওইস্থানে কিন্তু বিএনপির সন্ত্রাসীরা উক্ত জায়গাটিতে চোখ পড়ার কারণে রাতের আঁধারে দখল করে নিয়েছে। আমরা মসজিদের জায়গাগুলোসহ এই সন্ত্রাসীদের কবলে থাকা জায়গাগুলো দখল মুক্ত করতে চাই। এক্ষেত্রে আমরা উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, স্থানীয় এম.পি মহোদয়, নিজাম উদ্দিন হাজারী এম.পি মহোদয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।