এম নিজাম উদ্দীন মজুমদার সজিবঃ ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রসুতির কাছে দশ হাজার টাকা দাবি করায় তিন নার্সের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে প্রসুতির স্বামী তাজুল ইসলাম। ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্যও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শিহাব উদ্দীনের কাছে অভিযোগপত্রটি দেয়া হয়।অভিযুক্ত নার্সরা হল রিতা রানী রায়,বিবি রহিমা ও জরিনা আক্তার।
অভিযোগে জানা যায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের উত্তর ছয়ঘরিয়া গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক তাজুল ইসলামের স্ত্রী রাহেনা আক্তারের(২৪) প্রসব বেদনা শুরু হলে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত নার্স রিতা রানী রায়,বিবি রহিমা আক্তার ও জরিনা আক্তার প্রসুতিকে দেখে এবং নানা জটিলতার কথা বলতে থাকে একপর্যায়ে ৩ টায় লেবার রুমে নিয়ে গেলে ৩ টা ১৬ মিনিটে নরমাল ডেলিভারিতে কন্যা সন্তানের জম্ম হয়।পরে প্রসুতির স্বামী তাজুল ইসলামকে বলতে থাকে প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার করতে ২৫-৩০ হাজার টাকা লাগে আমাদের ১০ হাজার টাকা দিতে হবে।
তাজুল ইসলাম জানায় আমি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক আমি এত টাকা কোথায় পাব? এত টাকা থাকলে তো সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসতামনা।এরপর তাদের (নার্সদের) কথামত প্রথমে ৮ শত টাকা দিলে নিবেনা বলে এরপর ১হাজার টাকা দিলে তাও নিবেনা এরপর ১ হাজার ৫শত টাকা দিলে আমরা ফকির নাকি এমন কথা বলে টাকা ছুড়ে ফেলে দেয় এরপর আমার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং বলতে থাকে মা ও শিশুর শারীরিক অবস্থা ভাল নয় এখনি চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যেতে হবে না হয় তারাতারি ফেনী সদরে নিয়ে যেতে হবে। এবং আমাকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য ট্রান্সফার ফরম দেয়া হয়।আমি ফেনী আধুনিক সদর হাসতালে গিয়ে জরুরী বিভাগে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মা ও শিশুর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানায় দুজনই ভাল আছে কোন সমস্যা নেই ভর্তি করতে হবেনা।পরবর্তীতে বাড়ীতে চলে আসি।
উপজেলা স্বাস্থ্যও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃমোঃ শিহাব উদ্দীন অভিযোগপত্রটি গ্রহন করে জানান অভিযোগের বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে(ফেইজবুক)ছরিয়ে পরলে ব্যাপক আলোরন সৃষ্টি হয় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই সরাকারি এই হাসপাতালটির ডাক্তার এবং নার্সদের নানা অনিয়ম এবং দূর্নীতির কথা জানিয়েছেন গনমাধ্যমের কাছে।সকলেই উপজেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটিকে জনসাধারনের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আরো আন্তরিক হওয়ার জন্য ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।