এম নিজাম উদ্দীন মজুমদার সজিবঃ ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের ৬ নং ইউপি সদস্য আবুল বাশারের বিরুদ্ধে তার ওয়ার্ডে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং স্বামী পরিত্যক্তা ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করে দিবে বলে বিভিন্ন লোকজন থেকে অবৈধভাবে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় একই ওয়ার্ডের শেখ আহাম্মদ আর্মি বাড়ীর মৃত হেঞ্জু মিয়ার ছেলে আনজু মিয়া থেকে বয়স্ক ভাতার কথা বলে ১ বছর পূর্বে ৩ হাজার টাকা নেয়, লাতু সওদাগর বাড়ীর কৃষক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে নাসরিন আক্তারের প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দিবে বলে ২ বছর পূর্বে ৪ হাজার টাকা নেয়,বিডিআর তাহেরের পুরাতন বাড়ীর স্বামী পরিত্যক্তা ছকিনা বেগম থেকে নেয় ২ হাজার ২ শত টাকা।
এছাড়া আরো অর্ধশতাধীক ব্যক্তি থেকে বিভিন্ন ভাতার কথা বলে বহু টাকা হাতিয়ে নিয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ছালা উদ্দীন সুমন জানায় আবুল বাশার মেম্বার হওয়ার পর থেকে সরকারী কাজগুলো যেভাবে করার কথা সেভাবে না করে নিজের মনগড়া ভাবে করে থাকে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো অনেকেই জানায় মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করে দিবে বলে এলাকার অসহায় লোকজন থেকে সে বহু টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।বিভিন্ন ভাতা যারা প্রকৃত পাওয়ার যোগ্য তাদের না দিয়ে তার আত্নীয় স্বজনদের মাঝে স্বাবলম্বীদের মাঝে বিলিবন্টন করে দেয়।এবং এলাকায় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নাকরে থানায় পাঠিয়ে দেয়।
এছাড়াও সে শুভপুর ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি হওয়ায় এমপি শিরীন আখতারের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার মানুষকে ভয়ভীতি দেখায় এবং বলাবলি করতে থাকে আমি এমপির লোক আমাকে কেউ কিছু করতে পারবেনা।এব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সেলিম জানায় যাদের সমস্যা হয়েছে তাদেরকে আমার কাছে আসলে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করে দেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহের জানান একজন জনপ্রতিনিধী যদি দূর্নীতিপরায়ন হয় তাহলে জনগন কার কাছে যাবে?তদন্তসাপেক্ষে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবুল বাশারের সাথে মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা জানতে চাইলে সে সব অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন তার বিরুদ্ধে একটি মহল মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে বলে জানায়।