নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফুলগাজীতে আলোচিত ঘটনা অমি কাণ্ডে নতুন মোড় উন্মোচিত হয়েছে। পরকীয়া ও প্রবাসী স্বামীর টাকা আত্মসাতের ঘটনা জানাজানির ভয়ে শশুর পরিবারকে চাপে রাখতে নাটকীয় ও কাল্পনিক কাহিনী রটিয়েছেন গৃহবধু অমি।
৩ অক্টোবর (রবিবার) সন্ধ্যায় ফেনী শহরের বেস্ট ইন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবী তুলেন অমির শশুর পক্ষের নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলোচিত গৃহবধুর ননদের ছেলে জিন্নাত হোসেন ইমন জানান, তার মামা নিখন খান দীর্ঘদিন স্পেনে থাকেন। এসময়ে তার থেকে তার স্ত্রী অমি নানা প্রয়োজন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ২০/২২ লাখ টাকা আদায় করে। এসব টাকা দিয়ে গৃহবধু অমি সম্পর্কের ভাগিনা আবদুল্লাহ আল মামুনের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রবাসী স্বামীর পাঠানো টাকা হাতে পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে গৃহবধু অমি। এমনকি টিকটক ভিডিও বানিয়ে সেলিব্রেটি হওয়ার শখ জাগে অমির।
এরআগে ৮ আগস্ট পরশুরামের সাতকুচিয়া গ্রামে ঝাড়ফুকের নামে গৃহবধুকে সাপ দিয়ে নির্যাতন ও ১৫ আগস্ট তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়।
গত কয়েকদিন আগে আবদুল্লাহ আল মামুনের সাথে গৃহবধু অমির পরকিয়ার অসংখ্য ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি সবার নজরে আসে। শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অমির পরকিয়া নিয়ে নিয়ে তোলপাড়।
সংবাদ সম্মেলনে ইমন জানান, তার মামা লিখন খান গত ১৮ আগস্ট বাড়িতে আসার কথা পরিবারকে জানান। এতে তার মামি গৃহবধু অমি বিচলিত হয়ে ওঠেন। টাকা পয়সার হিসাব ও পরকিয়া সম্পর্ক নিয়ে অনাকাংখিত ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে অমি বিভিন্ন নাটকীয় কল্পকাহিনীর চক আঁকতে থাকেন। অমিকে এসব কাজে প্ররোচিত ও প্রলোভিত করে অমির মা ও তার পরিবার।
সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা দাবী করেন, অমির মায়ের প্রস্তাবে উভয় পরিবারের সম্মতিতে অমিকে সাপদিয়ে ঝাড়-ফুঁক করা হয়। এছাড়াও এ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা অমির মায়ের পরিবারের পূর্ব পরিকল্পিত সাজানো নাটক। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রকৃত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা।