এম নিজাম উদ্দীন মজুমদার সজিব : অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে বহিস্কৃত ঢাকা দক্ষিন যুবলীগ সভাপতি ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
৬ অক্টোবর কুমিল্লার জেলার চৌদ্দগ্রাম থেকে তার আত্নীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।বেশকিছুদিন ধরে দেশের মানুষের মাঝে চলছে ক্যাসিনো বিষয়ে। ইতিমধ্যে ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃতদের অনেকেই স্বীকার করেছে সম্রাট নিজে ও এই ব্যবসার সাথে জড়িত এবং প্রতিমাসে মাশোহারা নিত। কেউ বলছে সম্রাট নির্দোষ। আবার কেউ বলছে সম্রাটকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন গ্রেফতার করছেনা?
তবে প্রধানমন্ত্রীর একটাই কথা ক্যাসিনোর মত অবৈধ ব্যবসার সাথে যেই জড়িত থাকুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
অন্যদিকে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে সম্রাট জড়িত থাকলে তাকেও ছাড় দেয়া হবেনা।
গ্রেফতার হওয়া ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বাড়ী ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব সাহেব নগর গ্রামে। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ফয়েজ আহাম্মদ চৌধুরী। মা ছায়েরা খাতুন ৩ ভাই ২ বোন। তিন ভাইয়ের মাঝে সম্রাট দ্বিতীয়। বাবা ঢাকায় রাজউক এ চাকুরী করতেন। বাবার চাকুরীর সুবাদে পরিবারের সবাই ঢাকায় বসবাস করতেন।
মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান ভুট্টু জানান, ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাট নিজ গ্রাম পূর্ব সাহেব নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করে পরশুরাম মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহন করে ঢাকায় চলে যায়। সে থেকে ঢাকাতেই তার বসবাস।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার কৃর্তি সন্তান আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সাবেক সদস্য জাকারিয়া ভূইয়ার হাত ধরে সম্রাটের রাজনীতির হাতে খরি। ১৯৮৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে জাকারিয়া ভূইয়া যখন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে ফেনী -১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন।সে নির্বাচনে জাকারিয়া ভূইয়ার হয়ে সম্রাট বহু পরিশ্রম করেছিলেন ও তার মন জয় করেছিলেন সে হিসেবে সম্রাট এলাকায়ও পরিচিতি লাভ করেন।জাকারিয়া ভূইয়ার হাত ধরেই সম্রাটের রাজনীতি শুরু। ১৯৯৭ সালে পারিবারিক কারনে সম্রাট ১ বছর নিজ এলাকা পরশুরামে অবস্থান করেন এরপর আবার চলে যান ঢাকায়।
বিভিন্ন সময়ে পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই এক দিনের জন্য আসা হত।
স্থানীয়সূত্রে আরো জানা যায়, ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট তৃনমূল থেকে আসেনি অল্প কয়েক বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন বৈধ অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে বহু অর্থ সম্পদের মালিক হয়ে যাওয়ার পর থেকে সবার কাছে পরিচিত।তবে এলাকার বিভিন্ন পারিবারিক, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সে আর্থিক সহযোগীতা করত। দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার পর যুবনেতা ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাট গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মাঝে কেমন যেন এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
সর্বশেষ, র্যাব তার বাসা তল্লাশি করেই তেমন কিছুই পায়নি তবে তার কার্যালয়ে কিছু বিদেশী মদ ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া পেলে সে অপরাধে তাকে ৬ মাসের জেল দেয়।