‘মৃত্যুবার্ষিকী এলেই একরাম ভাইয়ের খবর নেয়া হয়, সারাবছর আর খবর নেয়ার মানুষ নেই। এমন মৃত্যু কারও না হোক, যারা আমাদের শত্রু তাদেরও না।’ – স্বামীর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে কথাগুলো বলছিলেন প্রয়াত ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হক একরামের স্ত্রী তাসনিম আক্তার।
সন্তানদের প্রসঙ্গে তাসনিম আক্তার জানান, বড় ছেলে আজমাইন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। মেয়ে সুবাহ এ বছর জুনে সিক্স এ উঠবে। ছোট মেয়ে লামিরা কেজি ওয়ানে পড়ছে। ২০১৪ সালে পিতার বর্বোরচিত হত্যাাান্ডের সময় ৬ মাসের লামিরা এখন কেজি ওয়ানে পড়ে। বাবার অভাব হয়ত আরও বড় হলে স্পষ্ট হবে।
রাজনৈতিক নেতারা খোঁজ খবর নেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ খবর নেয় না। রাজনীতিতে মৃত মানুষের কোনো মূল্য নেই।
নিজের ফেইসবুকে মরহুম একরামের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘স্নেহের একরামের মৃত্যুবার্ষিকিতে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
ফেনী-২ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী নিজের ফেইসবুক পেইজে মরহুম একরামের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
দলীয় নেতা একরামের মৃত্যুবার্ষিকীতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
এছাড়াও করোনা পরিস্থিতিতে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সকল ইউনিটকে ঘরে বসে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে মরহুম একরামের আত্মার মাগফেরাত কামনার অনুরোধ জানিয়েছেন এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী।
এদিকে ফুলগাজীতে সকল মসজিদে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দোয়া মাহফিলের আয়োজনের কথা ঘোষণা দেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার ও আঃলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ মে নিজ দলের বিপথগামী কিছু নেতার্মীর হাতে খুন হন ফেনীর একসময়ের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা একরাম। খুনীরা ফেনী শহরের একাডেমী এলাকায় গাড়ীর গতিরোধ করে গুলি করে, কুপিয়ে এবং পুড়িয়ে তাকে হত্যা করে।
২০১৮ সালের ১৩ই মার্চ ফেনীর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনুল হক এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন। রায়ে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৯ আসামিকে ফাঁসির আদেশসহ ৫৫জনকে সাজা প্রদান করে বিচারক। বর্তমানে তা উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
©দৈনিকফেনী