নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শ্রমিক সংকটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ধান কেটে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সেই রেশ না কাটতেই খাদ্য সহযোগিতা, ইফতার বিতরণ, শাকসবজি বিতরণসহ বিভিন্ন মানবতার সেবায় নেমে পড়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। উদ্দেশ্য করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে খাদ্য সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা। এর পাশাপাশি বিপন্ন মানুষকে সহযোগিতা করা।
এসব কার্যক্রমের অন্যতম একজন সেবক বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী সাদী।
করোনা মোকাবেলায় যিনি নিজ এলাকা ফেনীসহ (পরশুরাম) সারা দেশের গরীব, অসহায়, কর্মহীন পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। ফেনী জেলার শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন এমন শতাধিক অসহায় শিক্ষার্থী পরিবারের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেনী জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ডুসাফের মাধ্যমে। দেশের প্রায় অর্ধেকের ও বেশি জেলার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী পরিবারের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন যেটা এখনো চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় শ্রমিক, দিনমজুর, মধ্যবিত্ত ৮০০ পরিবারের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। ফেনীতে ফোন কল বা মেসেজের মাধ্যমে গত দেড় মাস যাবত প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৪০-৫০ পরিবার কে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে রমজানের ইফতার বিতরণ করেছেন প্রায় ৪শ পরিবারের মধ্যে। এছাড়াও অসহায় হতদরিদ্র ও গৃহবন্দী সাধারণ মানুষকে খাদ্য সহযোগিতা দিতে সবজি বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮শ মানুষকে সবজি বিতরণ করেছেন তিনি।
এই মহা দুর্যোগে অসহায় কর্মহীন মানুষের কথা চিন্তা করে ঢাকায় নিজের অসুস্থ মা বাবাকে ছেড়ে প্রায় দুই মাস যাবত নিজ গ্রাম বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের দক্ষিণ গুথুমা গ্রামে অবস্থান করে নিজের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে এবং আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, শুভাকাঙ্ক্ষী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ভাই ও শিক্ষকদের সহায়তায় গ্রামে বসে প্রযুক্তি মাধ্যম ব্যাবহার করে সহায়তা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাদ বিন কাদের জানান, দেশের যেকোনো দুর্যোগে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তারই ধারাবাহিকতায় আমি সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার পদক্ষেপ নিয়েছি। ফেনীসহ সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, অসহায়, হতদরিদ্র, দিনমজুর, কর্মহীন মানুষের জন্য খাদ্য সহযোগিতা, ইফতার বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। এছাড়াও যেহেতু করোনার প্রভাবে অনেক মানুষই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাই তাদের খাদ্য সহযোগিতা দিতে বিভিন্ন এলাকায় সবজি বিতরণ করছি পাশাপাশি তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছি।
তিনি আরো জানান, এই দুর্যোগে সংকটে পরা পরিবার গুলার পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাদের সহযোগিতা করা শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব হবে না। আমাদের সবাইকে সামর্থ্যানুযায়ী এগিয়ে আসতে হবে। এই দুর্যোগে সংকটে পরা পরিবারগুলার পাশে না দাঁড়াতে পারলে করোনা নয়, ক্ষুধার জ্বালা মারা যাবে তারা। মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছে থাকলে কোন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি না হয়েও মানবিক দিক বিবেচনা করে কাজ করা সম্ভব। আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি অসহায় বিপন্ন মানুষদের সহযোগিতা করতে। করোনা দুর্যোগ যতদিন থাকবে ততদিন আমার এই সকল ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ নেতা সাদ বিন কাদের পরশুরামের গুথুমা আনসার আলী চৌধুরী বাড়ির নুর কাদের চৌধুরীর সন্তান। যিনি ১৯৯৬ সালে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিল।
২০০৩ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১ং সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (টানা ৩বার এই দায়িত্ব পালন করেন)।
তার দাদা নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী
১৯২১ সালে কলকাতা আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেছিলেন তৎকালীন যথেষ্ট সুনাম এবং সম্মান ছিল। তার নানা আমিনুল করিম মজুমদার (খোকা মিয়া) মুক্তিযুদ্ধকালীন ১ এবং ২ নং সেক্টরে অন্যতম সংগঠক ছিলেন।