পরশুরাম প্রতিনিধি : প্রাণ নাশের হুমকী ও অহেতুক হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে পরশুরাম উপজেলায় কর্মরত ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার চট্রগ্রাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে উপজেলার ৪৮ জন ৩য় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা স্বাক্ষর করেছেন।
সাফায়েত উল্যাহ মজুমদার বর্তমানে জেলা প্রশাসকের নেজারত শাখায় কর্মরত।
লিখিত অভিযোগে উল্ল্যেখ করা হয়েছে যে বিচারপ্রার্থীরা পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ভুমি অফিসে যথাযথ সন্মানের সাথে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসকের নেজারত শাখায় কর্মরত অফিস সহায়ক মো সাফায়েত উল্যাহ মজুমদার তাদের অফিসে গিয়ে নিয়মিত ভাবে প্রাণ নাশের হুমকী ধমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন মামলা হামলার দিয়ে হয়রানি করার হুমকী ধমকি দেয়।
এছাড়াও সাফায়েত উল্যাহ মজুমদার তাদের বিরুদ্বে বিভিন্ন অফিস, দপ্তর/সংস্থায় বেনামে দরখাস্ত দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে এবং হেয়প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে। কোন কিছুর প্রতিবাদ করলে সাফায়েত উল্যাহ প্রাণ নাশের হুমকী দেয়।
তারা অভিযোগ করেন উপজেলা প্রশাসনের সকল ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি নিয়মিত ভাবে তার হাতে অত্যাচারিত, আতংকিত এবং অতিষ্ঠ তার অত্যাচারে নিজ নিজ দপ্তরে কাজ করা কষ্ঠসাধ্য ব্যাপার হয়ে উঠেছে।
অভিযোগকারিদের কয়েকজন জানান সাফায়েত উল্যাহ ইতিপুর্বে উপজেলা ভুমি অফিসের জারিকারক আলমগীর হোসেন, পরশুরাম উপজেলা কর্মচারী সমিতির সভাপতি ইউএনও অফিসের কর্মচারী সফিকুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ের অফিস সহকারী আবদুল হালিম চৌধুরী সুজন, ভুমি অফিসের কর্মচারী কোলাপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন, পরশুরাম ভুমি অফিসের সদ্য বদলী হওয়া মিহির এবং আশিষ সহ উপজেলার বেশ কয়েকজনের বিরুদ্বে বিভিন্ন সংস্থায় বেনামে চিঠি দিয়েছে সাফায়েত উল্যাহ মজুমদার। সাফায়েত উল্যাহ পরশুরাম উপজেলা ভুমি অফিসে কর্মরত থাকায় অবস্থায় তার বিরোদ্বে সেবাগ্রহীতাদের কাছে ঘুষদাবি সহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগস্ত্ররা। তাদের অভিযোগের তদন্ত করেছেন পরশুরাম উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও বর্তমান ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো সাইফুল ইসলাম, বতর্মান এসিল্যান্ড হাছিনা আক্তার।